▪ চম্পারন সত্যাগ্রহ কী বা চম্পারন সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝায়?
উওর ; বিহারের চম্পারণে নীল সাহেবরা চাষীদের জোর করে বিঘা প্রতি তিন কাঠা জমিতে (৩/২০ জমি) নীল চাষ করতে বাধ্য করতো। যা তিন কাঠিয়া প্রথা নামে পরিচিত ছিল। এতে কৃষকদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয় হয় পড়েছিল। কৃষকদের এই অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে মহাত্মা গান্ধী ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে চম্পারণে আসেন।। সেখানে কৃষকদের কৃষকদের অবস্থা দেখেন এবং কৃষকদের দুরবস্থা দূর করতে, নীলকর সাহেবদের অত্যাচার বন্ধ করতে তিনি, কৃষকদের বেশ কয়েকটি দাবিকে সামনে রেখে তা পুরনের জন্য চম্পারনের কৃষকদের নিয়ে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে যে সত্যাগ্রহ শুরু করেন, তাই চম্পারন সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। গান্ধীজীর নেতৃত্বে পরিচালিত প্রথম বৃহত্তর আন্দোলন ছিল এই চম্পারন সত্যাগ্রহ।
▪ চম্পারন সত্যাগ্রহ কেন হয়েছিল বা চম্পারন সত্যাগ্রহের কারণ কী ছিল?-
চম্পারণের কৃষকদের মূলত কিছু দাবি ছিল। যেমন-
▪ প্রথমত কৃষকদের উপর অতিরিক্ত খাজনা বন্ধ করতে হবে,
▪ দ্বিতীয়ত নীলকর সাহেবদের অত্যাচার কম করতে হবে ;
▪ তৃতীয়ত নীলকর সাহেবদের তিন কাঠিয়া প্রথা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এই দাবিগুলোই ছিল চম্পারন সত্যাগ্রহের প্রধান কারণ
▪ গান্ধীজীর নেতৃত্বে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করলে চম্পারণের ম্যাজিস্ট্রেট জেলার শান্তি ভঙ্গ হওয়ার ভয়ে তিনি গান্ধীজিকে গ্রেফতার করার হুকুম দেন।।কিন্তু গান্ধীজিকে গ্রেফতার করা হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ফলে সরকার গান্ধিজিকে বিনা শর্তে ছাড়তে বাধ্য হয়।
▪ চম্পারন সত্যাগ্রহের ফলাফল কী ছিল?
১) চম্পারন সত্যাগ্রনের ফলে বিহারের তিন কাঠিয়া প্রথার অবসান ঘটে।
২) কৃষকদের ওপর বর্ধিত কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ খাজনা কমানো হয়।
৩) নীলকরদের অত্যাচার কমানো হয়।
৪) চম্পারন সত্যাগ্রহের পরেই সারা ভারতে গান্ধীজীর প্রভাব অনেকটা বৃদ্ধি পায়।
** এটাও পড়তে পারো : ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা
এটা দেখো👉 : মাধ্যমিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 50+ MCQ প্রশ্ন উওর
** ক্লিক করো👉 : নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর সম্পূর্ণ ইতিহাস
এটাও দেখো👉 : ২০২০ ইতিহাস প্রশ্নপত্রের সমাধান** ক্লিক করো 👉 : ২০১৭ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র
*** এটাও পড়ে দেখো👉 : ২০১৭ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্রের সমাধান