আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমরা 'নবম শ্রেণীর বাংলা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের রচিত দাম গল্পের 26টি ছোটো প্রশ্ন উওর' তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আশাকরবো যে দাম গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউওর গুলো তোমাদের সামনের পরিক্ষায় কাজে আসবে।।
** দাম গল্পটির উৎস কী? : দাম গল্পটি 1365 বঙ্গাব্দে শারদীয় 'তরুণের স্বপ্ন'-তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
দাম গল্পের সবচেয়ে 26টি ছোটো প্রশ্ন উওর 2024 || Class 9 Bangla Daam Golper Choto Proshno Uttor 2024
1- দাম গল্পটির লেখক কে?
উওর : দাম গল্পটির লেখক হলেন নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়।।
2- গল্পকথক এর স্কুলে যিনি বিভীষিকা ছিলেন,তিনি কে?
উওর : গল্পকথকদের স্কুলে অংকের মাস্টার মশাই ছিলেন তাদের বিভীষিকা।
3- ঘন্টার পর ঘন্টা ছেলেরা কী নিয়ে পন্ডশ্রম ফটো?
উওর : ঘন্টার পর ঘন্টা স্কুলের ছেলেরা জটিল অংক নিয়ে পন্ডশ্রম করতো।।
4- 'ঝড়ের গতিতে এগিয়ে চলতো'- ঝড়ের গতিতে কার, কী এগিয়ে চলতো?
উওর : সমস্ত জটিল অংক নিয়ে যখন ছেলেরা নাজেহাল হয়ে পড়তো তখন স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের,ব্ল্যাকবোর্ডে ঝড়ের গতিতে খড়ি চলতো।
5- স্কুলের মাস্টার মশাই এর হাতের ঘড়ি যখন ভেঙ্গে যেত,তখন তিনি কি করতেন?
উওর : অংক করার সময় হাতের খড়ি হঠাৎ ভেঙে গেলে অঙ্কের মাস্টারমশাই বিরক্ত হয়ে তা তিনি ছাত্রদের দিকে ছুড়ে মারতেন।
6- 'আমরা রোমাঞ্চিত হয়ে দেখতুম'- আমরা কারা? কী দেখার কথা বলা হয়েছে?
উওর : দাম গল্পের আমরা বলতে গল্পকথক এবং তার বন্ধুদের কথা বলা হয়েছে।ছোটবেলায় যখন স্কুলে অঙ্কের মাস্টার মশাই জটিল অংকগুলি অনায়াসেই ব্ল্যাকবোর্ডে ছবির মত সাজিয়ে দিতেন,তখন তা ছাত্ররা রোমাঞ্চিত হয়ে দেখতেন।।
7- 'ওর ভয় তারাও তটস্ট হয়ে থাকতো' - এখানে ওর ও তারা বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
উওর : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম গল্পে ওর বলতে স্কুলের সেই মাস্টার মশাইয়ের কথা বলা হয়েছে। এবং তারা বলতে যারা অংকে 100 তে 100 পায় তাদের কথা বলা হয়েছে।।
8- গল্পকথক নিজেকে অংক বিশারদ বলেছিলেন কেন?
উওর : দাম গল্পের গল্পকথক সুকুমার আসলে নিজেকে ব্যঙ্গ করে অংক বিশারদ বলেছেন। তিনি কোনোকালেই অংকতে ভালো ছিলেন না তাই তিনি নিজেকে ব্যঙ্গ করে অংক বিশারদ বলে ছিলেন।
9- ‘তা উনি পারতেন।—‘উনি’ কী পারতেন?
উত্তর ; অংকের মাস্টারমশাই অঙ্ক না-পারা ছাত্রদের কাঁদতে দেখলে পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারতেন।
10- 'এখানে তাঁর প্রবেশ নিষেধ'- কোথায় কাদের প্রবেশ নিষেধ?
উওর : এখানে বলতে প্লেটোর দোরগোড়াকে বোঝানো হয়েছে। যারা অংক পারে না তাদের দার্শনিক প্লেটোর দোরগোড়ায় প্রবেশ নিষেধ।
11- 'দুচোখ দিয়ে তাঁর আগুন ঝরছে' কার দুই চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে?
উওর : দাম গল্পের গল্পকথক সুকুমার রায় রাতে দুঃস্বপ্ন দেখতেন যে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার মুখে অথচ তার অংক মিলছে না। এদিকে পরিক্ষক হিসেবে অঙ্কের মাস্টার মশাই হাজির আর সেই মুহূর্তে তাঁর অর্থাৎ অঙ্কের মাস্টার মশাইয়ের দুচোখ দিয়ে আগুন ঝরছে।।
12- ‘অঙ্কের সেই বিভীষিকা মন থেকে গেল না।—এর কারণ কী?
উত্তর : অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের শাসন-গর্জন-শাস্তি গল্পকথকের অন্তর্মনে গভীরভাবে চেপে বসায়, তা মন থেকে কখনোই পুরোপুরি মুছে যায়নি।
13- ‘এম এ পাশ করবার পরেও স্বপ্ন দেখেছি, —কে, কী স্বপ্ন দেখেছেন?
উত্তর : গল্পকথক সুকুমার স্বপ্ন দেখেছিলেন পরীক্ষার শেষ ঘণ্টা আসন্ন, তবু অঙ্ক মিলছে না আর মাস্টারমশাই আগুন ঝরা চোখে তাকিয়ে আছেন।
14-তা হলে নির্ভয়ে লিখতে পারি।- কথকের এই নির্ভয়তার কারণ কী?
উত্তর: পত্রিকাটির পাঠকসংখ্যা সীমিত হওয়ায় কথকের আত্মকথা অন্য কারও কাছে স্পর্ধার মনে হবে না, এই ভেবেই। তিনি নির্ভয়ে লিখেছিলেন।
15- ‘গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করতে গেলে গাধাটাই পশুত্ব পায়’ – ‘পঞ্চত্ব’ বলতে কী কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : এখানে গাধার ‘পঞ্চত্ব' বলতে দুর্বল ছাত্রদের সামান্য সম্ভাবনাটুকুরও অপমৃত্যু ঘটার কথা বলা হয়েছে।
16- "তার প্রমাণ আমি নিজেই।—কে, কীসের প্রমাণ?
উত্তর : দাম গল্পের সেই মাস্টারমশাইয়ের শাসন ও শাস্তির মাধ্যমে যে কাউকে কিছু শেখানো যায় না, গল্পকথক সুকুমার নিজেই এ ঘটনার সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ।
16- পত্রিকা কর্তৃপক্ষ সুকুমারকে কত দক্ষিণা দিয়েছিল?
উত্তর : গল্পকথক নিজের স্কুলের মাস্টার মশাইকে নিয়ে গল্প লেখার জন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষ গল্পকথক সুকুমারকে সাম্মানিক দশ টাকা দক্ষিণা দিয়েছিল।
17- ‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ বলতে বক্তা কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : গল্পকথক মাস্টারমশাইকে নিয়ে গল্প লিখে দশ টাকা সাম্মানিক হিসেবে পেয়েছিলেন। একেই তিনি নগদ লাভ বলেছেন।
18- 'এ লজ্জা আমি কোথায় রাখবো?'- এভাবে লজ্জা কার? কোন লজ্জা ও অপরাধের কথা বলা হয়েছে?
উওর : স্কুলের অঙ্কের মাস্টার মশাইকে নিয়ে গল্প লেখার সময় সুকুমার যে কটূক্তি ও সমালোচনা করেছিলেন, তা মাস্টারমশাই স্নেহের জন্য ক্ষমা করে দিলেও কথক মন থেকে নিজেকে অপরাধী বলে ভাবতে থাকেন। এখানে সেই অপরাধ ও লজ্জার কথাই বলা হয়েছে।
19- 'স্নেহ-মমতা" ক্ষমার এক মহা সমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছি'- কার সম্পর্কে এবং কেন এ কথা বলা হয়েছে?
উওর : দাম গল্পের গল্পকথক ছোটবেলায় তাদের অঙ্কের মাস্টার মশাইকে অন্যভাবে চিনতেন। কিন্তু তাকে নিয়ে গল্প লেখার পর অনেক বছর পর যখন মাষ্টার মশাই-এর সঙ্গে পুনরায় তার দেখা হয়,তখন তিনি বুঝতে পারেন যে তাদের স্কুলের মাস্টারমশাই হলেন একজন মানুষ যার স্নেহ-মমতা এবং ক্ষমা করে দেওয়ার শক্তি এক মহাসমুদ্র সমান গভীর। এবং যখন তিনি তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন তিনি সেই জিনিসটা বুঝতে পেরেছিলেন।।
20- ‘আমার মনটাকে অদ্ভুতভাবে দুলিয়ে দিল।— মন দুলে উঠেছিল কেন?
উত্তর : এক অতিপরিচিত ও আশ্চর্য গলায় গল্পকথকের নাম ধরে কেউ ডাকলে তাঁর মন দুলে উঠেছিল।
21- ‘একটা ভয়ের মৃদু শিহরন আমার বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে গেল।— এমন ঘটার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : সুকুমারের অন্তর্মনে মাস্টারমশাই সম্পর্কে ভীতি ও আতঙ্ক প্রচ্ছন্ন থাকায় মাস্টারমশাইয়ের গলা শুনে তাঁর শরীরে শিহরন বয়ে যায়।
22-,......লুকিয়ে ছিল মনের চোরাকুঠুরিতে—'— কী
লুকিয়ে ছিল?
উত্তর : ছেলেবেলায় অঙ্ক না-পারলেই মাস্টারমশাইয়ের কাছে শাস্তি পাওয়ার স্মৃতি লুকিয়ে ছিল গল্পকথক সুকুমারের মনের চোরাকুঠুরিতে।
23- ‘আর বলতে পারলেন না।–কেন?
উত্তর : অধ্যাপক ছাত্রের কাছে আবেগ-বিহ্বলাপ্লুত বৃদ্ধ অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের চোখে জল এসে পড়ায়, তিনি তাঁর কথা শেষ করতে পারেননি।
24- ‘এমন সময় একটি ছেলে এসে খবর দিলে— ছেলেটি কী খবর দিয়েছিল?
উত্তর : একটি ছেলে এসে খবর দিয়েছিল যে, এক বয়স্ক ভদ্রলোক সুকুমারের সঙ্গে দেখা করতে চান।
25- ‘আচ্ছা চলো, আমি যাচ্ছি।— এমন বলার কারণ কী?
উত্তর : এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক বাইরে সুকুমারের সাক্ষাৎ-প্রত্যাশী শুনে, ‘দাক্ষিণ্য-পুলকিত’ মনে এমন মন্তব্য করেছিলেন।
26- 'তারপর চোখে পড়ল মানুষটিকে।'— মানুষটি দেখতে কেমন ছিলেন?
উত্তর : মানুষটির চেহারা ছিল কুঁজো ও লম্বা এবং মাঠের তরল অন্ধকারেও তাঁর সাদা চুলগুলি চিকমিক করছিল।
আশাকরি, নবম শ্রেণির বাংলা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম গল্পের এই 26টি ছোটো প্রশ্ন উওর তোমাদের কাজে লাগবে।।
Tags : দাম গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর 2024| নবম শ্রেণির বাংলা দাম গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর 2024 ক্লাস 9 বাংলা দাম গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর 2024 | wbbse class 9 Bengali question answer 2024 | Class 9 Daam Golper Proshno Uttar 2024