জেনে নাও তেভাগা আন্দোলনের কারণ ও ফলাফলের ইতিহাস

Ajit Rajbanshi
0

  

history-of-tebhaga-movement-in-bengal



তেভাগা আন্দোলন বলতে কী বোঝায়? || What Is Tebhaga Movement?

ভূমিকা ; ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে, ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে তৎকালীন বাংলার ভূমিহীন বা ভাগচাষিরা জমিদার ও জোতদার দের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দাবীকে সামনে রেখে যে ব্যাপক কৃষক আন্দোলন শুরু করে, তাই তেভাগা আন্দোলন নামে পরিচিত। 

▪ তেভাগা আন্দোলন সর্বপ্রথম শুরু হয়েছিল তৎকালীন সময় দিনাজপুরে ও রংপুরে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তেভাগা আন্দোলন সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।

** মাধ্যমিক ইতিহাস,ভূগোল, বাংলা, জীবন বিজ্ঞান এবং ভৌত বিজ্ঞানের pdf নোট নেওয়ার জন্য আমাদের ৮৩৮৮৯৮৬৭২৭ নম্বরে যোগাযোগ করো।


তেভাগা আন্দোলনের প্রধাণ কারণ ; 

দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গদেশের ভূমিহীন বা ভাগ-চাষীর চাষীরা মালিকের জমি চাষ করতো বর্গাপ্রথায়। এই প্রথা অনুসারে,  ফসল ফলানোর জন্য বীজ ও শ্রম দু'টোই কৃষক দিত। আর উৎপন্ন ফসলের ফসলের অর্ধেক বা তার বেশি অংশ মালিক পেতো। এই প্রথার বিরুদ্ধে কৃষকদের দাবি ছিল‒ মোট উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ পাবে কৃষক আর এক ভাগ পাবে জমির মালিক। তিন ভাগের এই আন্দোলন থেকে এই আন্দোলনের নাম হয় 'তেভাগা আন্দোলন'।

এছাড়াও, 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বাজারে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়,সেই পরিস্থিতিতে তাদের উপর থেকে রাজস্ব কমানো এবং ১৩৫০ বঙ্গাব্দের দুর্ভিক্ষের সময়কালেও তাদের উপর যে অত্যাচার চলন্ত সেই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতেই তারা তেভাবে আন্দোলন শুরু করে।

** তোমরা যদি মাধ্যমিক ইতিহাস সম্পূর্ণ সিলেবাসের সকল অধ্যায়ের সমস্ত ধরনের প্রশ্ন উত্তরের pdf নোট খুবই কম দামে পেতে চাও, তাহলে আজই ৮৩৮৮৯৮৬৭২৭ নম্বরে যোগাযোগ করো।


তেভাগা আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবী—:

তেভাগার কৃষক আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি ছিল—

1. উৎপন্ন ফসলের তিনভাগের দুভাগ কৃষকদের দিতে হবে

2. জমিতে চাষিকে দখলি স্বত্ব দিতে হবে

3. জমিদারি প্রথার উচ্ছেদ ঘটাতে হবে

4. ভূমিরাজস্বের পরিমাণ হ্রাস করতে হবে।

5. বিনা খেসারতে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করো

6. নিলামি জমি কৃষককে ফেরত দাও

7. হাটেবাজারে তোলাবাটির জুলুম বন্ধ করো।

8. কৃষকের সকল ঋণ মওকুফ করো।

9. বেগার প্রথা বন্ধ করো।

10. জমি থেকে প্রজা উচ্ছেদ বন্ধ করো ইত্যাদি।


তেভাগা আন্দোলনের স্লোগান ; 

তাদের স্লোগান ছিল- আধি নয়, তেভাগা চাই, যান দিব তবু ধান দিব না না, জমিদারি প্রথা ধবংস হোক, লাঙল যার জমি তার ইত্যাদি।

▪ আন্দোলনের বিস্তার ; তেভাগা আন্দোলনের শুরু হয়েছিল দিনাজপুর জেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে জলপাইগুড়ি,মেদিনীপুর,চব্বিশ পরগনা ময়মনসিংহ সহ বাংলার 19 টি জেলায় এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

▪ তেভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব:- 

তেভাগা আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চারু মজুমদার গুরুদাস তালুকদার, সমর গাঙ্গুলী ভবাণী সেন বুড়িমা অবণী রায় প্রমুখ।


তেভাগা আন্দোলনের ফলাফল / তাৎপর্য 

গুরুত্ব:- জাতি- ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু- মুসলমান পুরুষ- নারী নির্বিশেষে সকলে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। সরকার চরম দমননীতির মাধ্যমে আন্দোলন দমন করে। অবশেষে 1949 খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক অর্ডিন্যান্স জারি করে তেভাগার দাবি স্বীকার করে নেয়।


** এটাও পড়তে পারো : ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা

এটা দেখো👉 : মাধ্যমিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 50+ MCQ প্রশ্ন উওর

** ক্লিক করো👉 : নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর সম্পূর্ণ ইতিহাস 

এটাও দেখো👉 : ২০২০ ইতিহাস প্রশ্নপত্রের সমাধান

** ক্লিক করো 👉 : ২০১৭ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র

*** এটাও পড়ে দেখো👉 : ২০১৭ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্রের সমাধান 


▪ জয়েন করুন আমাদের 👉 Telegram Channel 
▪ ফলো করুন👉 Facebook Page 

▪ ফলো করুন আমাদের👉 WhatsApp Channel

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)