নববিধান কী? কে, কবে এবং কেন নববিধান ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

Ajit Rajbanshi
0

  

keshab-chandra-sen-and-his-nababidhan-brahmasamaj

দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনায় ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাসে তোমাদের নববিধান সম্পর্কে পড়তে হবে। 'নববিধান কী? নববিধান কে,কবে এবং কেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? নববিধান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল- এগুলোই আজকের এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।


কোথা থেকে নববিধান ব্রাহ্মসমাজের সৃষ্টি হয়েছিল?

রাজা রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ব্রাহ্মসমাজের তরুণ নেতা কেশব চন্দ্র সেনের কিছু মতপার্থক্য জনিত কারণে প্রথমবার বিভাজিত হয়। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসমাজ বিভাজিত হয়ে আদি ব্রাহ্মসমাজ এবং ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ নামে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ ভেঙেই আবার নববিধান ব্রাহ্মসমাজের সৃষ্টি হয়।।


নববিধান কী? কে এবং কেন নববিধান ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের নেতা কেশবচন্দ্র সেন যখন ব্রাহ্মসমাজের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে বা সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট আইন ভঙ্গ করে তার চোদ্দ বছরের নাবালিকা কন্যাকে যখন কোচবিহারের রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন,তখন ব্রাহ্মসমাজের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতা,যেমন-আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী প্রমুখ তাঁর বিরোধীতা করেন। সমস্ত নিয়ম ভঙ্গ করেও তিনি মাত্র ১৪ বছরের কন্যাকে কোচবিহারের ১৫ বছর রাজকুমারের সাথে বিয়ে দেন। ব্রাহ্ম সমাজের সবচেয়ে বড়ো পদে থাকা ব্যক্তির এই আচরণে আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী প্রমুখ ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ ত্যাগ করেন। এবং তারা ব্রাহ্মসমাজের নতুন শাখা 'সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ' নামে নিজেদের কাজ করতে থাকেন। ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণেই কেশবচন্দ্র সেন ও তাঁর অনুগামীরা ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে  ব্রাহ্ম সমাজের যে নতুন শাখা তৈরি করেন তাই নববিধান নামে পরিচিত।।


নববিধান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?

১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দের পর কেশবচন্দ্র সেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ছত্রছায়ায় আসেন। কেশব চন্দ্র সেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছ থেকে আধ্যাত্মিক লাভ করেন। ব্রহ্ম নিরাকার না সাকার এই সম্পর্কে কেশবচন্দ্র সেনের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল, সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছিল শ্রীরামকৃষ্ণের জন্য। এই কারণে ধীরে ধীরে তিনি রামকৃষ্ণ দেবের পরম ভক্ত হয়ে ওঠেন এবং তিনি নিজেও শ্যামা সংগীত এবং মাকালীর পূজারিতে পরিনত হন। পরবর্তীকালে রামকৃষ্ণদেবের "যত মত তত পথ" বা সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ সকলের কাছে পৌঁছে গেলে ব্রাহ্মসমাজের নেতা কেশবচন্দ্র সেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন। এই সময়টাতে, অর্থাৎ ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর নববিধান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ প্রচার করা এবং এই আদর্শের প্রসার ঘটানো।

এটা দেখো👉 : মাধ্যমিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 50+ MCQ প্রশ্ন উওর

** ক্লিক করো👉 : নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর সম্পূর্ণ ইতিহাস 

এটাও দেখো👉 : ২০২০ ইতিহাস প্রশ্নপত্রের সমাধান

** ক্লিক করো 👉 : ২০১৭ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র

*** এটাও পড়ে দেখো👉 : ২০১৭ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্রের সমাধান 


▪ জয়েন করুন আমাদের 👉 Telegram Channel 
▪ ফলো করুন👉 Facebook Page 

▪ ফলো করুন আমাদের👉 WhatsApp Channel


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)