WB Class 11 History New Syllabus- 1st Semester Unit 2-Empires Across the three Continents থেকে বা তোমাদের নতুন একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সিলেবাসের প্রথম সেমেস্টারের দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন 'সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা কাকে বলে বা সাম্রাজ্য বলতে কী বোঝায়? এবং সাম্রাজ্যের বৈশিষ্ট্য' সম্পর্কে একটা নোট তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো আজকের এই ব্লগ পোস্টে।
সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা : সাম্রাজ্য কাকে বলে বা সাম্রাজ্য বলতে কী বোঝায়?
সাম্রাজ্য হলো এমন কোনো ভৌগলিক অঞ্চল,যার শাসক সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে তার রাষ্ট্রীয় সীমানার প্রসার ঘটায়। এবং সেখানে শাষক রাষ্ট্রের কল্যাণ মাথায় রেখে তার সাম্রাজ্য পরিচালনা করে, তাকে সাম্রাজ্য বলে।
• যেমন- মৌর্য সাম্রাজ্য,মোগল সাম্রাজ্য,গুপ্ত সাম্রাজ্য হলো ভারতের বিখ্যাত কিছু প্রাচীন সাম্রাজ্য।
▪ সাম্রাজ্যের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য-
▪ আয়তন : পৃথিবীর বেশিরভাগ সাম্রাজ্যে আয়তন ছিল বিশাল। সাম্রাজ্যে আয়তন যে কোনো রাজ্যের আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি হয়। সাম্রাজ্যের শাসক বা সম্রাট সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে তার সাম্রাজ্যের আয়তন বাড়ানোর চেষ্টা করতেন এবং প্রতিটি সম্রাট সবসময় ই চাইতেন যে, তার সাম্রাজ্যের আয়তন যেন বিশাল হয়। কারণ সাম্রাজ্যের আয়তন যতোই বিশাল হবে,সাম্রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থা ততোই শক্তিশালী হবে। এ কারণেই প্রতিটি সম্রাট তার সাম্রাজ্যের রাজ্যের আয়তন বানানোর চেষ্টায় থাকতেন।।
▪ শাসক : একটি রাজ্যের শাসক হিসেবে যেমন একজন রাজা থাকেন অর্থাৎ একটি রাজ্যের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন একজন রাজা, ঠিক তেমনই,কোনো সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ শাসক বা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন একজন সম্রাট। সম্রাট ই সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারি এবং সর্বোচ্চ শাসক।
▪ শাসন ব্যবস্থা : সাম্রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার পেছনে থাকেন সম্রাট। এবং তিনি তার সাম্রাজ্যের ভালো-মন্দ বিচার করে তার সম্রাজ্য পরিচালনা করে থাকেন। এবং সাম্রাজ্যের পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকের ভালো-মন্দ বিচার করে তিনি বিভিন্ন নিয়ম কানুন বা আইন তৈরি করতেন।
▪ শাসন বিভাগ : সাম্রাজ্যের আয়তন বিশাল হওয়ায় একজন সম্রাটের পক্ষে তার বিশাল আয়তন সাম্রাজ্যের পরিচালনা কখনোই সম্ভব ছিল না। এজন্য সম্রাট তার বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি শাসন বিভাগ তৈরি করতেন,যারা সম্রাটের অধীনে থেকে সাম্রাজ্যের কোনো এক অংশে আঞ্চলিকভাবে শাষন, পরিচালনা এবং এবং তার ভালো-মন্দ দেখাশোনা করতেন।
▪ আর্থিক ব্যবস্থা : যে কোনো সাম্রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থা হতো খুবই মজবুত। কারণ সাম্রাজ্যের আয়তন খুবই বৃহৎ হতো,যার ফলে সম্রাটের কাছে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বা খাজনা জমা হতো। এবং সেই বিশাল পরিমাণ খাজনা বা করের কারণেই সাম্রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খুবই মজবুত হতো।
▪ বিভিন্ন জাতি-উপজাতির অস্তিত্ব : যে কোনো সাম্রাজ্যের আয়তন বিশাল হওয়ায়,এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল যে - একটি সাম্রাজ্যের অধীনে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি এবং গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করবে।
▪ শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর : সাম্রাজ্যকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য একজন যোগ্য সম্রাটের প্রয়োজন। কিন্তু তৎকালীন সম্রাটের পর কে সেই সাম্রাজ্যের সম্রাট হবে,তা নির্ণয় করা হতো বংশানুক্রমিকভাবে। অর্থাৎ সম্রাটের পুত্রই পরবর্তী সম্রাট হিসেবে সাম্রাজ্যের পরিচালনা করতেন।
উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা সাম্রাজ্যের যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই, তা থেকেই আমরা বিভিন্ন সাম্রাজ্যে সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা লাভ করতে পারি।
এটা পড়ো👉 : নদীমাতৃক সভ্যতার খুটিনাটি তথ্য
** আরও জানো👉 : মৌর্য সাম্রাজ্যের 25+ প্রশ্ন উওর
** আরও পড়ো👉 গুপ্ত সাম্রাজ্যের 25+ MCQ
Tags : সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা দাও। সাম্রাজ্যের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। | একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের বড় প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11 History 1st Semester, 2nd Chapter Question Answer | ক্লাস 11 ইতিহাস প্রথম সেমেস্টারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর