দারুণ একটা নোট মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্যতা, নিয়োগ, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে

Ajit Rajbanshi
0


powers-and-functions-of-chief-minister-in-bengali


অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্যতা, ক্ষমতা ও কার্যাবলী, পদমর্যাদা || Powers & Functions Of Chief Minister 

অঙ্গরাজ্যের শাসন বিভাগের দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো রাজ্যপাল এবং অঙ্গরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে আমাদের যাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়টা রয়েছে,, সকলকেই মূখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে পড়তে হয়। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা অঙ্গরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী সম্পর্কিত A-2-Z নিয়ে আলোচনা করবো।।


▪ মূখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা ;-

▪ যিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন তাকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

▪ মূখ্যমন্ত্রী হতে গেলে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২৫ বছর।

▪ সরকারের কোনো লাভ দায়ক পদে থাকা চলবে না।

▪ রাজ্য আইনসভার সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখতে হবে। 

▪ রাজ্য আইনসভার সদস্য নন এমন কোনো ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হলে তাকে ছয় মাসের মধ্যে রাজ্য সভার সদস্য হতে হয়।


▪ মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচন ;-

▪ রাজ্য বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের বা জোটের নেতা বা নেত্রী রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হন। 

▪ রাজ্যপাল সংবিধানের ১৬৪(১) নং ধারা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেন।

▪ রাজ্য বিধানসভায় কোনো দল বা জোট যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের ব্যাপারে রাজ্যপাল তাঁর স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। 


▪ মুখমন্ত্রীর কার্যকাল,বেতন ভাতা, ইত্যাদি ; 

▪ মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর।

▪ কার্যকালের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদ্ধত্যাগ করতে পারেন।

▪ মুখ্যমন্ত্রী কত টাকা বেতন পাবেন সেটা রাজ্য আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইনের দ্বারা নির্ধারণ হয়।

▪ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাসিক বেতন রাখা হয়েছে ৮,৫০০ টাকা।


** অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী

** (Powers & Functions Of Chief Minister)

বিধানসভা নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই দলের প্রধান কেই অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে থাকেন। অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যেসব ক্ষমতা এবং কার্যাবলী থাকে, তা হলো-

প্রথমত ; রাজ্যপালের প্রধান পরামর্শদাতা : কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন, একইভাবে অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীও রাজ্যপালের প্রধান পরামর্শ দাতা হিসেবে কাজ করে থাকেন। 

রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদের নিয়োগের ক্ষেত্রে, মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ, দপ্তর বন্টনের ক্ষেত্রে, আইনসভার অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত রাখা এমনকি বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল কে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


যদি তোমরা উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পূর্ণ সিলেবাসের প্রশ্ন উওরের পিডিএফ নোট নিতে চাও, তাহলে আজই যোগাযোগ করো- +918388986727 নম্বরে।


দ্বিতীয়ত মন্ত্রিপরিষদের প্রধান ; সংবিধানের ১৬৩ (১) নং ধারায় রাজ্যপালকে তার শাসনকার্যে সাহায্য এবং পরামর্শদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে মন্ত্রী পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে, সংবিধানে মুখ্যমন্ত্রী এসে মন্ত্রী পরিষদের প্রধান রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ব্যাপারে রাজ্যপালকে পরামর্শ দেন যে কারা মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হবেন, কে কোন ধরনের মন্ত্রী হবেন, কার হাতে কোন দপ্তর থাকবে এবং প্রয়োজন পড়লে কাকে পদচ্যুত করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদের যেকোনো বৈঠকে প্রধান রূপে কাজ করেন।

তৃতীয়ত ক্যাবিনেটের প্রধান ; অঙ্গরাজ্যের সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং বাস্তবে প্রয়োগ করার মূল কাজ থাকে ক্যাবিনেটের। মুখ্যমন্ত্রী হলেন সেই ক্যাবিনেটের প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী মূলত ঠিক করেন যে কারা ক্যাবিনেটর সদস্য হবেন এবং কার হাতে কোন দপ্তর থাকবে। রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিকট ও আস্থাভাজন মন্ত্রীদের নিয়ে রাজ্যের ক্যাবিনেট গঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাবিনেটের সভা আহ্বান করেন এবং সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ এবং পরামর্শ তার সচিবালার কর্তৃক ক্যাবিনেটের আলোচ্য সূচি নির্ধারিত হয়। এছাড়াও ক্যাবিনেট যে সমস্ত প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সেগুলো সকল মন্ত্র বা দত্ত বাস্তবের প্রয়োগ করছে কিনা সেটা সুনিশ্চিত করা ও মুখ্যমন্ত্রী অন্যতম দায়িত্ব।

চতুর্থত বিধানসভার নেতা নেত্রী ; অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন বিধানসভার প্রধান নেতা বা নেত্রী। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শেই রাজ্যপাল বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করেন, স্থগিত রাখেন এবং প্রয়োজন পড়লে ভেঙেও দেন। এছাড়াও বিধানসভার অধিবেশন চলাকালে বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা,বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দানকালে কোনো মন্ত্রী সমস্যা পড়লে তাকে সাহায্য করা, বিল পাস, এবং বিধানসভায় দলীয় ভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কিছু দায়িত্ব থাকে।

পঞ্চম নীতি প্রণেতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ; মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যের প্রধান নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকর্তা। নির্বাচনের আগে তার দল জনগণের কাছে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো পূরণ করে জনগণকে খুশি করতে তিনি বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি, নীতি, পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবে প্রয়োগ করে থাকেন।। এছাড়াও দলের প্রধান হিসেবে জনগণের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জবাবদিহি করতে হয় সেই কারণে তিনি জনগণের সামনে দলের ভাবমূর্তি ঠিক থাকতেও গুরুদায়িত্ব পালন করেন।


মূখ্যমন্ত্রীর পদমর্যাদা || Rank Of Chief Minister

কেন্দ্রের শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি যেমন শুধুমাত্র নাম সর্বস্ব শাসক এবং প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত শাসক- ঠিক একই ভাবে রাজ্যের ক্ষেত্রে বলা যায় রাজ্যপাল হল কিছু ক্ষেত্রে নাম সর্বশেষ শাসক এবং অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন প্রকৃত শাসক। 


*** যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নিম্নলিখিত উপায়ে। 

 ▪ আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করুন👉 Telegram Channel 
▪ সরাসরি ইমেইল করতে 👉 rajajit6666@gmail.com
▪ ফেসবুক পেজ থেকে ম্যাসেজ করুন👉 Facebook Page 

▪ ফলো করুন আমাদের👉 WhatsApp Channel



Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)