কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের গঠন ও কার্যাবলী সম্পর্কে টপারের লেখা নোট

Ajit Rajbanshi
0



composition-and-functions-of-union-council-of-ministers


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের গঠন ও কার্যাবলী || Composition & Functions Of Union Council Of Ministers 

ভূমিকা ; ভারতে ব্রিটেনের অনুকরণে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো- এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানে যাকে দেশের প্রধান শাসনকর্তা বলা হয়, বাস্তবে তিনি হয়ে যান নামসর্বস্ব শাসক। আবার সংবিধানে যাকে শাসন বিভাগের প্রধান বলা হয় না, কার্যক্ষেত্রে তিনিই হয়ে ওঠেন প্রধান শাসক। ব্রিটেনের ক্ষেত্রে নাম সর্বস্ব শাসক হলেন ব্রিটেনের রাজা বা রানি এবং অন্যদিকে প্রকৃত শাসক হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। একইভাবে ভারতের ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন শাসন বিভাগের প্রধান এবং যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু বাস্তবে রাষ্ট্রপতি হলেন শুধুমাত্র নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। রাষ্ট্রপতির নামেই মূলত যাবতীয় শাসন কার্যাবলী সম্পাদিত হয়। সংবিধানের ৫৩(১) নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিজে কিংবা তার অধস্থান কর্মচারীদের মাধ্যমে শাসন বিভাগীয় কার্যাবলী সম্ভাবন করতে পারেন। তবে ভারতীয় সংবিধানের ৭৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাজে তাকে সাহায্য করার জন্য এবং পরামর্শদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা থাকবে। ১৯৭৬ সালের ভারতীয় সংবিধানের ৪২ তম সংবিধান সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে যে রাষ্ট্রপতি শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য। তাই বলা যায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ভারতের মন্ত্রিসভাই দেশের শাসন কার্য পরিচালনা করে এবং প্রকৃত প্রস্তাবে ক্যাবিনেট-ই রাষ্ট্রপতির শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গঠন || Composition Of Union Council Of Ministers 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী সহ ক্যাবিনেট মিনিস্টার, স্টেট মিনিস্টার এবং ডেপুটি মিনিস্টারদের নিয়ে  নির্বাচনের পর লোকসভায় যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই দলের নেতা বা নেত্রীকেই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন [৭৫(১) ধারা অনুযায়ী ]। রাষ্ট্রপতি ; প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করার পর প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ করে থাকেন। মন্ত্রিসভার গঠন, পুনর্গঠন, দপ্তরের বন্টন, মন্ত্রীদের অপসারণের ব্যাপারে মূলত প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। 

আইনসভার সদস্য নয় এমন কোনো ব্যক্তি ও মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই ছয় মাসের মধ্যে লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্য হতে হবে। 

ঠিক কতজন মন্ত্রী নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঠিত হবে সেই সম্পর্কে ২০০৩ সালের ৯১ তম সংবিধান সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে-প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা কখনোই লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। যাই হোক যতজন সদস্য নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠিত হোক না কেন মন্ত্রিসভার কার্যকালের মেয়াদ সাধারণত হয় পাঁচ বছর। তবে পাঁচ বছরের আগে যদি কোন কারণে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়,তাহলে মন্ত্রিসভাও ভেঙে যাবে। আবার একইভাবে লোকসভার মেয়াদও যদি বাড়ে তাহলে মন্ত্রিসভার মেয়াদও বাড়বে। আবার লোকসভায় যদি বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ভোটে পাস হয়ে যায়, তখনও মন্ত্রীসভাকে পদত্যাগ করতে হয়।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় কত প্রকার মন্ত্রী থাকেন? || মন্ত্রী কত প্রকার ও কী কী?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা, মন্ত্রীদের মর্যাদা গত পার্থক্য খুঁটিনাটি বিষয়ে ভারতীয় সংবিধানে কোনো উল্লেখ নেই। সেই কারণেই এই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করে মতামত জানানোর জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপালস্বামী আঙ্গেয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের শ্রেণী বিভাজন সম্পর্কে ১৯৪৯ সালে নভেম্বর মাসে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন। সেই প্রতিবেদনে তিন ধরনের মানসিকতা উল্লেখ করা হয়। 

১) প্রথমতঃ ক্যাবিনেট মন্ত্রী (Cabinate Ministers) 

২) দ্বিতীয়তঃ রাষ্ট্রমন্ত্রী (Ministers Of State)

৩) এবং তৃতীয়তঃ উপমন্ত্রী (Deputy Ministers) 



১) প্রথমতঃ ক্যাবিনেট মন্ত্রী (Cabinate Ministers) ; 

সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের (যেমন অর্থ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, সড়ক ও পরিবহন,বিদেশ, প্রভৃতি) দায়িত্বে থাকেন ক্যাবিনেট মিনিস্টাররা। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জন্য নীতি নির্ধারণ এবং সেই সমস্ত নীতি বাস্তবে প্রয়োগ করাই হলো ক্যাবিনেট মিনিস্টারদের প্রধান কাজ। সাধারণত মন্ত্রিসভার প্রধান এবং অভিজ্ঞ মন্ত্রীদের সদস্যদের নিয়েই ক্যাবিনেট গঠিত হয়। ক্যাবিনেটের সদস্য সংখ্যা কত হবে বা কারা ক্যাবিনেটের সদস্য হবেন সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।


** কিচেন ক্যাবিনেট কী? ; 

ক্যাবিনেটে যেসব মন্ত্রীরা থাকেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয় না সকল মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা বা পরামর্শ করা। সেই কারণে তিনি ক্যাবিনেটের মধ্যে থেকেই তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত, আস্থাভাজন,অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ ব্যক্তিদের নিয়ে ক্যাবিনেটের মধ্যেই আরও একটা ক্যাবিনেট গঠন করেন যা হলো কিচেন ক্যাবিনেট।।


২) দ্বিতীয়তঃ রাষ্ট্রমন্ত্রী (Ministers Of State) ; 

রাষ্ট্রমন্ত্রী দুই ধরনের হতে পারেন। যথা প্রথমত স্বতন্ত্র রাষ্ট্রমন্ত্রী (Ministers Of State Independent Charge) এবং দ্বিতীয়ত রাষ্ট্রমন্ত্রী (Ministers Of State).

স্বতন্ত্র রাষ্ট্রমন্ত্রীদের হাতে কোন সরকারি দপ্তর বা মন্ত্রকের সতন্ত্র দায়িত্ব দেওয়া থাকে। স্বতন্ত্র রাষ্ট্রমন্ত্রীরা ক্যাবিনেটে নিজের রিপোর্ট করেন না সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছেই রিপোর্ট করে থাকেন। 

অন্যদিকে রাষ্ট্র মন্ত্রীরা রয়েছেন যারা মূলত ক্যাবিনেট এর অধীনে কাজ করেন। রাষ্ট্র মন্ত্রীদের কেবিনেট মন্ত্রীদের অধীনে থাকা বিভিন্ন দপ্তর বা মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, তাদের সাহায্য করার জন্য।।


৩) এবং তৃতীয়তঃ উপমন্ত্রী (Deputy Ministers)  ;

গুরুত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে ডেপুটি মিনিস্টার বা উপমন্ত্রীগন হলেন তৃতীয় শ্রেণীভক্ত। এরা ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের এবং রাষ্ট্রমন্ত্রীদের তাদের কাজে সাহায্য করে থাকেন।। এদের হাতে কোনো দপ্তর বা মন্ত্রকের দায়িত্ব থাকেনা।



কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদ তথা ক্যাবিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলী || Functions Of Union Council Of Ministers 

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের দায়িত্ব বর্তমানে প্রকৃতপক্ষে ক্যাবিনেট-ই বহন করে। অর্থাৎ ক্যাবিনেটি হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের প্রধান অংশ। সেই কারণে ক্যাবিনেট এর কার্যাবলী চূড়ান্তভাবে মন্ত্রী পরিষদের কার্যাবলীতে পরিণত হয়। ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের মতো ভারতের ক্যাবিনেট দেশ শাসনের ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ভারতের ক্যাবিনেট কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলী হল মূলত মন্ত্রিসভার কার্যাবলী। ভারতীয় ক্যাবিনেটের ক্ষমতা এবং কার্যাবলীকে নিম্নহিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

প্রথমত ; সরকারের নীতি নির্ধারণ করা ; দেশের জনগণের কল্যাণের স্বার্থে ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাই তাদের দপ্তরের জন্য বা বলতে গেলে সরকারের হয়ে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ ও প্রণয়ন করে থাকেন। 

দ্বিতীয়ত ; দেশের উন্নয়নে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও রূপায়ণ ; দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, নীতি গ্রহণ করা এবং সেগুলো বাস্তবে রূপায়ণ করার দায়িত্ব থাকে Planning Commission বা পরিকল্পনা কমিশনের হাতে। এবার প্ল্যানিং কমিশনের সভাপতি হন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এবং প্ল্যানিং কমিশনে আবার তিনজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীও থাকেন। তাই বলাবাহুল্য অর্থনৈতিক বিষয়েও ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ হাত থাকে।।

▪ ত‍ৃতীয়ত- আইন প্রণয়ন করা ; দেশের জনগণের জন্য সরকারের তরফে যে নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে সেই সমস্ত নীতিকে বাস্তবে কার্যকর করার ক্যাবিনেট-ই প্রয়োজনমতো আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করে থাকে। ক্যাবিনেটের প্রতি আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন থাকায় সেই আইন প্রণয়নেও কোনো সমস্যা হয় না।

▪ চতুর্থ- বৈদেশিক আন্তর্জাতিক নীতি ; বৈদেশিক নীতি বা পররাষ্ট্রনীতির নির্ধারণ করা এবং কার্যকর করার ব্যাপারেও ক্যাবিনেটের প্রাধান্য বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হল পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রধানমন্ত্রী হলেন পররাষ্ট্রনীতির প্রধান রূপকার। তার নেতৃত্বে পররাষ্ট্রনীতি প্রণীত এবং কার্যকর হয়। ক্যাবিনেটে পররাষ্ট্র দপ্তরের জন্য একজন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকলেও তিনি মূলত পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী হিসেবেই তার কাজ করে থাকেন। 

▪ পঞ্চম- নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যাবলী ; দেশের কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদের নিয়োগের ব্যাপারেও ক্যাবিনেট কাজ করে থাকে। অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল, রাষ্ট্রদূত, ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল,,কম্পন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিট জেনারেল,নির্বাচন কমিশনের সদস্য, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারপতিদের নিয়োগের ব্যাপারেও ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে এবং ক্যাবিনেটের হয়ে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়োগের ব্যাপারে সুপারিশ করেন।

▪ ষষ্ঠ- বাজেট সংক্রান্ত কাজ : আগামী এক আর্থিক বছর সরকারের শাসন কার্য পরিচালনার জন্য সরকারের যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরি এবং পাসের মাধ্যমে ভারতের সঞ্চিত তহবিল থেকে লোকসভার পাশ থেকে অনুমোদন করিয়ে নেন। বাজেট তৈরি ক্ষেত্রে সমগ্র ক্যাবিনেট এর হাত থাকে না ঠিকই কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরির পর তা সমগ্র মন্ত্রিসভার দ্বারা অনুমোদন করিয়ে নেন। এইভাবে মন্ত্রিসভা কর্তৃক আগেই বাজেট সমর্থিত হওয়ার ফলে লোকসভায় তা সহজে প্রত্যাখ্যাত হয়না। 

▪ সপ্তম- জরুরী অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা ও কার্যাবলী :  রাষ্ট্রপতি তিন ধরনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা হতে পারেন। আপাতভাবে মনে হতে পারে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিজস্ব। কিন্তু বাস্তবে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রেও কেবিনেটের হাত থাকে। ১৯৭৮ সালের ৪৪ তম সংবিধান সংশোধনী আইনের মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে থাকা ক্যাবিনেটের লিখিত পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি কোনো প্রকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন না। 

এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কাজের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সরকারের নীতি বাস্তবে সঠিকভাবে প্রয়োগ এবং কার্যকর রয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখাও ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

 

** আরও জানো ; মূখ্যমন্ত্রীর যোগ্যতা, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে A1 নোট

*** এটাও পড়ুন 👉 ; ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের খুটিনাটি বিষয়

** আরও পড়ে দেখো👉 : ভারতীয় সংবিধানের উল্লেখযোগ্য ১৩টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা 

** আরও পড়ে দেখুন ; লোকসভার স্পিকারের উপর A1 নোট

** এটাও পড়ে দেখুন👉 ; সরকারি গাণিতিক কমিটির A2Z


*** যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নিম্নলিখিত উপায়ে। 

 ▪ যুক্ত হন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে👉 Telegram Channel 
▪ সরাসরি ইমেইল করতে 👉 rajajit6666@gmail.com
▪ ফেসবুক পেজ থেকে ম্যাসেজ করুন👉 Facebook Page 

▪ ফলো করুন আমাদের👉 WhatsApp Channel

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)