পশ্চিম হিমালয়ের ভূপ্রকৃতি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

Ajit Rajbanshi
0

a-short-note-about-the-western-himalayas-in-bengali

উওর : পশ্চিম হিমালয় বলতে আমরা তার প্রধান তিনটি অংশকে বুঝি। যথা -  ১- কাশ্মীর হিমালয়, ২-  পাঞ্জাব ও হিমাচল হিমালয়ের এবং ৩-  কুমায়ুন হিমালয়। অবস্থানগত ভাবে এটি জন্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, ও উত্তরাখন্ডের প্রায় ৮৮০ কিমি দীর্ঘ ও স্থান বিশেষে ১৬০ থেকে ৫০০ কিমি প্রসস্থ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত। নিচে পশ্চিম হিমালয়ের প্রধান তিনটি ভাগ সম্পর্কে বিস্তারে আলোচনা করা হলো।

কাশ্মীর হিমালয়ের বৈশিষ্ট্য :


• অবস্থান : জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে অবস্থিত।

• আয়তন : ৩.৫ লক্ষ বর্গ কিমি।

• পর্বতশ্রেণী : পিরপাঞ্জাল, জাস্কর, কারাকোরাম,

পুঞ্চ পাহাড়, লাদাখ ইত্যাদি।

• হিমবাহ : ফেডচেঙ্কো, বিয়াফো, বলটারাে ইত্যাদি।

• উপত্যকা : পিরপাঞ্জাল ও জাস্করের মাঝে কাশ্মীর উপত্যকা অবস্থিত।

• গিরিখাত : বানিহাল, জোজিলা ইত্যাদি।

• হ্রদ : ডাল ও উলার হ্রদ।

• মালভূমি : ভারতের উচ্চতম লাদাখ মালভূমি এখানে অবস্থিত।


পাঞ্জাব ও হিমালয়ের বৈশিষ্ট্য; 

• অবস্থান : পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত।

• আয়তন : ৬৪ হাজার বর্গকিমি।

• পর্বতশ্রেণী :নাগটিব্বা, মুসৌরি ইত্যাদি।


  কুমায়ুন হিমালয়ের বৈশিষ্ট্য

 • অবস্থান : উত্তরাখন্ড রাজ্যে অবস্থিত।

• আয়তন : ৬০ হাজার বর্গকিমি।

• পর্বতশ্রেণী : ত্রিশূল, কামেট, নন্দাদেবী ইত্যাদি।

• হিমবাহ : গঙ্গোত্রী, যমুনেত্রী ইত্যাদি হিমবাহ অবস্থিত।

• হ্রদ : এখানে হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদকে তাল বলে। যেমন : সাততাল, নৈনিতাল, পুনাতাল ইত্যাদি।

• উপত্যকা : এখানে উপত্যকাকে দুন বলে। যেমন : পাটলিদুল, দেরাদুন ইত্যাদি।




Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)