প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনের অর্থ, মূল লক্ষ্য, পাঠক্রম, শিক্ষা পদ্ধতি,শিক্ষকের ভূমিকা

Ajit Rajbanshi
0

 

prokitibadi-shikkha

প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনের অর্থ, মূল লক্ষ্য, পাঠক্রম, শিক্ষা পদ্ধতি,শিক্ষকের ভূমিকা

দর্শনের একটি প্রাচীনতম শাখা হলো ভাববাদী দর্শন যেখানে ভাব, মন বা আধ্যাত্মিকতাকেই অধীক গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এই ভাববাদী দর্শনের সম্পূর্ণ বিপরীতে রয়েছে প্রকৃতিবাদী দর্শন যেটাকে বস্তুবাদী দর্শনা বলা হয়। এই দর্শনে মূলত প্রকৃতি বা এই দৃশ্যমান জগতেককেই একমাএ সত্তা বলে ধরা হয়।

▪ যে দর্শন মূলত অলৌকিক,আধ্যাত্মিক, অতিন্দ্রিয়, অদৃশ্য, অভিজ্ঞতার ঊর্ধ্ব এমন জিনিসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে- তাই হল প্রকৃতিবাদী বা বস্তুবাদী দর্শন। 

প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনের কয়েকজন সমর্থক হলেন জ্যা জ্যাকঁ রুশো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চার্লস ডারউইন,ল্যামার্ক,হাবার্ট, স্পেন্সার প্রমূখ

আমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বিশেষভাবে বলতে পারি কারণ তিনি একটু ভিন্ন ধরনের শিক্ষা চিন্তা করে প্রকৃতির কোলে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা দানের জন্য শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

** উল্লেখ্য যে রুশোকে প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনের জনক বলা হয়।


▪ প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনের মতে শিক্ষার মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ;

আধুনিককালে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন এসেছে তাতে প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ চাহিদা ক্ষমতা ইত্যাদির গুরুত্ব দেওয়া শিক্ষকের বদলে শিক্ষার্থীকে প্রাধান্য দেওয়া এবং সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রম তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রকৃতিবাদী দর্শনের প্রভাব লক্ষ্যনীয়। প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার যে কয়েকটি নীতি বা আদর্শ বা লক্ষ্যের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, তা হল-

প্রথমত ; আত্মবিকাশ ; প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকদের মতে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীর বা ব্যক্তির আত্ম বিকাশ ঘটানো। এখানেও আত্ম বিকাশ বলতে বোঝানো হয়েছে শিক্ষার্থীর দৈহিক মানসিক বিকাশ ঘটানো। দার্শনিক নান-এর মতে "Development Of Individuality Is The Central Aim Of Education'. অর্থাৎ ব্যক্তি জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ হবে শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। 

দ্বিতীয়ত : জীবন সংগ্রামের উপযোগী করে তোলা ; চার্লস ডারউইনের অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম তত্ত্ব অনুযায়ী যারা জীবন সংগ্রামে জয়ী হয় তারাই একমাত্র জীবনে বেঁচে থাকে। প্রকৃতিবাদী দার্শনিকদের মতে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই জীবন সংগ্রামের উপযোগী করে তোলা বা সমাজের টিকে থাকার দক্ষতা সম্পন্ন করে তোলা হবে শিক্ষার লক্ষ্য।

** যারা NBU- সঙ্গে যুক্ত কোনো একটা কলেজে পড়ছো এবং যাদের 1st Semester বা 2nd Semester- Minor Education রয়েছে, তাদের জন্য আমাদের কাছে রয়েছে 1st Semester / 2nd Semester Minor Education Full Syllabus-এর PDF Notes. সকল নোটস নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারো +918388986727 নম্বরে

তৃতীয়ত : শিক্ষার্থীদের বর্তমান ভবিষ্যতের সুখ ; প্রকৃতিবাদী দার্শনিকদের শিক্ষা দর্শনে ভারতীয় চার্বাক দর্শনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। চার্বাক দার্শনিকরা বলেন যতদিন বাঁচবে সুখ করবে। এক্ষেত্রেও বলা হয় যে- শিক্ষার্থীদের এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ জীবনে সুখের অধিকারী হতে পারে।। 

চতুর্থ : সু- অভ্যাস গঠন ; বিভিন্ন রকম কার্যকলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এবং সঠিক পাঠ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে যাতে শিক্ষার্থীদের সু অভ্যাস গঠিত হয়,  প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দর্শনে সেটাও শিক্ষার মূল লক্ষ্য বলে মনে করা হয়।। 

পঞ্চম : শিশুর গুণাবলীর বিকাশ ; প্রত্যেকটা শিশু জন্মের সময় কিছু বিশেষ গুণাবলী নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা সেই সমস্ত গুণাবলী যাতে সঠিক বিকাশ করতে পারে সেটাও শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে প্রকৃতিবাদীরা মনে করেন। 

সুতরাং বলা যায় প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকদের মতে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হবে বিনা বাধায় শিক্ষার্থীদের আত্ম বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া। যেখানে শিক্ষকের প্রভুত্ব থাকবে না,নির্দিষ্ট পাঠক্রমে চাপ থাকবে না এবং শিক্ষার্থীরা নিজের আগ্রহ, চাহিদা প্রবণতা সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকৃতির কাছ থেকে নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিখবে।।


▪ প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শিক্ষাদানের পদ্ধতি কী হওয়া উচিত?

প্রকৃতিবাদী দার্শনিকরা পুথিকেন্দ্রিক,  মুখস্তবিদ্যা কেন্দ্রিক শিক্ষার বিরোধী ছিলেন। তারা ভিন্ন উপায়ে শিক্ষাদানের কথা বলেন। প্রকৃতিবাদীরা মনে করেন যে শিক্ষালাভ হবে খেলার ছলে, প্রকৃতির মধ্যে, শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা,সক্রিয়তা, অংশগ্রহণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আবিষ্কার এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে। যেমন -

প্রথমত- হাতে কলমে শিক্ষা ; প্রকৃতিবাদী দার্শনিকরা বলেন শিশুর শিক্ষার জন্য পাঠ্যপুস্তকের বিশেষ প্রয়োজন নেই। তাকে যদি স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় বা কাজ করতে দেওয়া হয়,তাহলে তার যতটা শেখার সে নিজে কাজ করে হাতে কলমে ততোটাই শিখতে পারবে। 

দ্বিতীয়ত- শিশুর উপর গুরুত্ব ; প্রকৃতিবাদী দার্শনিকরা শিশুর আগ্রহ, চাহিদা, প্রবণতা, সামর্থ, ক্ষমতা প্রভৃতির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে সমগ্র শিক্ষা নীতি প্রনয়ণ এবং প্রবর্তন করার কথা বলেন। এক্ষেত্রে জোর করে শিশুর উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া নয় শিশু যাতে নিজের মতো শিখতে পারে সেটার উপরেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।

তৃতীয়ত ; শিক্ষায় খেলাধুলা ; খেলাধুলা হলো শিশুর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের অংশ। শিশুর সঠিক দৈহিক এবং মানসিক বিকাশে খেলাধুলা সহায়ক। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে বলে প্রকৃতবাদী শিক্ষা দার্শনিকরা মনে করেন। 

চতুর্থ : সহ-শিক্ষা ; প্রকৃতিবাদী দার্শনিকরা মনে করেন যে সেখানে হচ্ছে ছেলে এবং মেয়েদের একসাথে শিক্ষা দিতে হবে যদি তাদের আলাদা আলাদা শিক্ষা দেওয়া হয় তাহলে তাদের পরস্পরের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হতে পারে। 

পঞ্চম : অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভ ; প্রকৃতবাদী দার্শনিকরা হাতে কলমে বা অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাদের মতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিখবে পরীক্ষাগারে, জ্যামিতি শিখবে খেলাধুলায় এবং জমি জরিপে, ভূগোল শিখবে পর্যটনের মাধ্যমে এবং আইন শিখবে স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে।

ষষ্ঠ ; প্রকৃতি এবং সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক ; শিক্ষার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে এবং সমাজের সঙ্গে এটা সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, সেই ভাবেই শিক্ষা দেওয়া উচিত বলে প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকরা মনে করেন।

সুতরাং এর থেকে বলা যায় প্রকৃতিবাদী শিখা দার্শনিকদের মতে শিক্ষা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হবে স্বাধীনতা,সক্রিয়তা, প্রকৃতি কেন্দ্রিকতা এবং অভিজ্ঞতা ভিত্তিক।।


▪ প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শিক্ষার পাঠ্যক্রম কেমন হবে?

প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকরা মনে করেন যে সমস্ত বিষয়গুলো শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য গুলোকে পূরণ করতে পারবে সেগুলোই পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। প্রকৃতিবাদীদের মতে পাঠ্যক্রম রচিত হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের আগ্রহ চাহিদা প্রবণতা সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে। শিক্ষার্থীরা যাতে প্রকৃতির কাছ থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিখতে পারে পাঠক্রম রচনা করতে হবে সেইভাবে। অর্থাৎ এখানে প্রথাগত শিক্ষা নয় একটু ভিন্ন ধরনের শিক্ষার কথা বলেছেন প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকরা। এক্ষেত্রে আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বিশেষভাবে বলতে পারি যিনি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেখানে প্রকৃতির কোলে খোলা আকাশের নীচে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।।

পাঠক্রমের বিষয়বস্তু ; 

প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকরা যে সমস্ত বিষয় সমূহকে পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন, তা হল-.

১) প্রথমত প্রকৃতি বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়গুলি শিশুর প্রকৃতির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে সহায়তা করবে।

২) দ্বিতীয়ত আত্ম সংরক্ষণের জন্য পরোক্ষভাবে সহায়ক বিষয়গুলো যেমন গণিত, জীববিদ্যা, সমাজবিদ্যা ইত্যাদি।

৩) তৃতীয়ত সামাজিক এবং রাজনৈতিক জ্ঞানের জন্য অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, এবং মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতা বুঝতে ইতিহাস, ভূগোল ও সমাজবিদ্যা এই বিষয়গুলো শিক্ষা-শিক্ষার্থীদের দিতে হবে।

৪) চতুর্থত ; অবসর বিনোদনের জন্য আঁকা,গান, কবিতা, চারুকলা,প্রভৃতি রাখার কথা বলেছেন।

এছাড়াও পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সামাজিক কাজকর্ম, মনোবিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতিক সম্পর্কিত বিষয় সমূহ কেও পাঠ্যক্রমে রাখার কথা বলেন।

▪ এখানে উল্লেখ্য যে- প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকরা শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব একেবারেই অস্বীকার করেননি। কিন্তু তারা বলেন যে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার জন্য পৃথক কোনো পাঠক্রমের দরকার নেই।


▪ শিক্ষায় শিক্ষকের কী ভূমিকা থাকবে?; 

প্রকৃতিবাদী শিক্ষায় প্রকৃতিকেই সবচেয়ে বড় শিক্ষক হিসেবে মনে করা হয়। মনে করা হয় শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা প্রকৃতির কাছ থেকেই। নিজস্ব বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। 

তবে এক্ষেত্রে জৈবিক সত্তা বিশিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের মনে করা হয়- তারা হবেন শিক্ষার্থীদের বিকাশের সহায়ক। তারা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে যাবেন তাদের সমস্ত ধরনের বিকাশের ক্ষেত্রে।

▪ প্রকৃতিবাদী শিক্ষা দার্শনিকদের মতে শিক্ষক শিক্ষক শিক্ষিকাদের যে কাজ হবে, তা হলো-

১) প্রথমত শিক্ষার্থীদের আগ্রহ,চাহিদা, প্রবণতা সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে তার মানে এটাই নয় যে শিক্ষক শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের খামখেয়ালি পনাকে প্রশ্রয় দেবেন। 

২) দ্বিতীয়ত শিক্ষার্থীদের বৃদ্ধি, বিকাশের উপর সঠিক নজর রাখবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

৩) তৃতীয়ত শিশুর সঠিক দৈহিক মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক পরিবেশ সৃষ্টি করবেন তারা। 

৪) চতুর্থত শিক্ষার্থীদের আদর্শ চরিত্র গঠনে সাহায্য করাও শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রধান কাজ হবে।

৫) এই সমস্ত কাজ বাদেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের মন,মানসিকতা এবং অবস্থা বুঝে তাদের পথপ্রদর্শক, কখনো বন্ধু, কখনো পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন।।

▪ প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শিক্ষায় শৃঙ্খলা (Naturalism and Discipline) ;

প্রকৃতিবাদ অনুযায়ী শৃঙ্খলা হবে আত্মশৃঙ্খলা (Self-discipline) বা মুক্ত শৃঙ্খলা (Free-discipline)। তবে স্পেনসার প্রকৃতিবাদী হলেও শিশুর অবাক স্বাধীনতার কিছুটা বিরোধিতা করেছেন।

এই ধরনের শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জোর করে শিক্ষার্থীদের উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া নয়! শিক্ষার্থীদের পছন্দ এখানে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের ডান্ডার ভয়ে ঠান্ডা করার নীতির ঘোর বিরোধিতা করা হয় এখানে।

** আরও জানো 👉 : ডেলর কমিশন অনুযায়ী শিক্ষার মূল চারটি লক্ষ্য সম্পর্কে সেরা নোট


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)